ফ্রান্স কাজের ভিসা প্রসেসিং, ভিজিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ভিসার দাম কত সরকারিভাবে আবেদন করার নিয়ম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কত টাকা বেতন বা ভিসা খরচ কত নিয়ে অনেকে অনেক ঝামেলায় পড়েন। ফ্রান্স ভিসা নিয়ে বিদেশ যাওয়া অনেকের স্বপ্ন রয়েছে। আমরা আপনাদের ফ্রান্স ভিসা সকল বিষয় সহজ এবং সুন্দর ভাবে দেওয়া হবে। আপনি যদি মনযোগ সহকারে একবার পড়লে কোন প্রশ্ন আপনার মনে ভিসা নিয়ে থাকবে না।
France Work Permit Visa 2024
France Work Permit Visa মাধ্যমে ২০২৪ সালে জনবল নিচ্ছে তাদের দেশে। ফ্রান্স ক্লিনার ভিসার বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বর্তমানে চাহিদা অনেক। তাদের দেশে সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক উন্নত। অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো পরিশ্রমের আপনি করতে পারবেন তবে, তার মধ্যে কিছু কাজ যেগুলো অনেক সহজ এবং বেতন অনেক বেশি পাবেন। আজকে এই স্বপ্নের দেশে যাওয়ার জন্য কত টাকা ভিসা খরচ কত টাকা লাগবে তা জানতে পারবেন। আমরা ফ্রান্স কাজের ভিসা সহ ফ্রান্স ভিজিট ভিসা ফ্রান্স ওয়ার্কার ভিসা সহ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানব। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ যাচ্ছেন ফ্রান্স । কাজের জন্য অতিরিক্ত কোন শ্রম দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
ফ্রান্স ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছে যারা ফ্রান্স বহু বছর ধরে জীবন যাপন করে যাচ্ছে। France visa ভিসায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রতিটি দেশে যাওয়ার জন্যই রিকোয়ারমেন্ট থাকে ঠিক তেমনি ফ্রান্স যাওয়ার জন্য কিছু রিকোয়ারমেন্ট দিয়েছে সেই দেশ। তাহলে আজকে আমরা দেখবো কিভাবে ফ্রান্স কাজের ভিসার জন্য যা যা প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে তা বিস্তারিত।
১। একটি বৈধ পাসপোর্ট
২। ভোটার আইডি কার্ড
৩। মেডিকেল রিপোর্ট ফিট
৪। পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন 6 মাস বা তার বেশি
৫। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
৬। করোনা টিকা কার্ড
IELTS একাডেমিক বা IELTS সাধারণ প্রশিক্ষণ এবং IELTS একাডেমিক সার্টিফিকেট প্রয়োজন। আপনি যে কাজের জন্য যাবেন সেই কাজের ওপর অভিজ্ঞতা এর প্রয়োজন পড়বে। যেহেতু আপনি ফ্রান্স ভিসায় বা কাজের ভিসায় যাবেন সেহেতু আপনাকে এর উপর অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ একটা ডকুমেন্ট রেডি করতে হবে। এইগুলা থাকলে আপনি খুব সহজে পেয়ে যেতে পারেন ফ্রান্স কাজের ভিসা।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকা ভিসা | বেতন , ভিসা খরচ ও আবেদন করার নিয়ম ২০২8
ফ্রান্স যেতে ভিসা খরচ বিস্তারিত
ফ্রান্স ভিসা আপনাকে যেতে হলে সর্বমোট ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ বা দাম হবে। কিন্তু অনেকে ফ্রান্স ভিসা দিয়ে বিদেশ যাচ্ছে দালাল অথবা প্রতারক সঙ্গে চুক্তি করে ফ্রান্স ভিসার জন্য ২গুন দাম দিয়ে ১৫-২০ লক্ষ টাকা । কারণ এ সকল দালাল আপনাকে নানা রকম না ধরণের কাজের অজুহাত দেখিয়ে অনেক টাকা দাবি করবে। অনেকেই রয়েছে যারা আপনাদের ফ্রান্স কাজের কথা বলে শেষ পর্যন্ত ফাঁদে ফেলবে প্রতারণার। যদি দালালের সহযোগিতা নেন, তবে ফ্রান্স ভিসা আরও বেশি লাগতে পারে। তাই, সরকারীভাবে ভিসা আবেদন করে ফ্রান্স যাওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনাকে মনে রাখতে হবে এইসব দালাল চক্র হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা। ফ্রান্স ভিসার জন্য কিভাবে কি করবেন না বুঝতেন অসুবিধা হচ্ছে, ভিসা সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জন্য আপনি এজেন্সি সাহায্য নিতে পারেন। তারা আপনাকে আপনার ভিসা প্রসেসিং করে দিবে আপনার ঝামেলা অনেকটা কমে যাবে। দালাল বা চক্র হাত থেকে আপনি সচেতন থাকবে আর তাদের সাথে কোন চুক্তিবদ্ধ হবেন না।
যে যে ভিসা পাওয়া যায়
আপনারা ফ্রান্স যে যে ভিসা পাবেন তা নিয়ে এখন বিস্তারিত জানতে পারবেন। ফ্রান্স ভিসা কত প্রকার? ফ্রান্স ভিসা সাধারণত ২ প্রকার । ১) অ-অভিবাসী ভিসা ২) অভিবাসী ভিসা। অনেকে আছে যারা ফ্রান্স ব্যবসা করার জন্য যেতে চায় কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা না যে ফ্রান্স কোন কোন ভিসা পাওয়া যায়। তাই সবার সুবিধার্থে ফ্রান্স কোন কোন ভিসা পাওয়া যায় সেগুলো ভিসা নাম নিচে দেওয়া হলো।
ফ্রান্স ভিসা ক্রমিক নং | ভিসার নাম |
---|---|
০১ | টুরিস্ট ভিসা |
০২ | কাজের ভিসা |
০৩ | চিকিৎসা ভিসা |
০৪ | স্টুডেন্ট ভিসা |
ফ্রান্স ভিসা আবেদন
ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার প্রেসিং নিয়ে অনেক ঝামেলা মনে হয়। কিভাবে ফ্রান্স ভিসা আবেদন করবেন তা আজকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে কিছু ধাপ বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন অথবা বাংলাদেশের অবস্থিত যে কোন এজেন্সির মাধ্যমেও ফ্রান্স কাজের ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যে পদ্ধতিতে আবেদন করেন না কেন সঠিক এবং নির্ভুলভাবে আবেদন করতে পারলেই সবচেয়ে দ্রুত সময়ে France visa পাবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রান্স ভিসায় আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে যে কোন একটি ব্রাউজার থেকে এই (France visa application) যেতে হবে। ওয়েব সাইটে যাওয়ার পর আপনি ভিসা আবেদন করার অপশনে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে খুব সহজেই ফ্রান্স ভিসা জন্য আবেদন করা। এছাড়াও আপনার জন্য যদি অনলাইনে আবেদন করাটা কঠিন হয়ে যায় তাহলে আপনি খুব সহজেই এজেন্সিতে মাধ্যমে আবেদন করে নিতে পারবেন।
ফ্রান্স কাজের ভিসার আবেদন
ফ্রান্স কাজের ভিসার আবেদন করতে কি কি লাগে তা নিয়ে আপনার মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে আছে বুঝতেছেন না যে কি কি প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে আপনার আজকে নিচে বলে দিবে যা যা লাগবে ফ্রান্স কাজের ভিসা আবেদন করতে। নিচে ফ্রান্স কাজের ভিসার আবেদন সকল তথ্য চক আকারে নিচে তালিকা দেওইয়া হলো।
ক্রমিক নাম্বার | ফ্রান্স কাজের ভিসার তালিকা |
---|---|
০১ | মেডিকেল রিপোর্ট |
.০২ | চেবার সার্টিফেকেট |
০৩ | পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট |
০৪ | পাসপোর্ট সাইজের ১২ কপি ছবি |
০৫ | কোভিড ভ্যাকসিন সনদ |
০৬ | নাগরিত্ব সনদ |
০৭ | পাসপোর্ট |
০৮ | জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন নিবন্ধন |
০৯ | কাজের আমন্ত্রন পত্র |
ফ্রান্স কাজের ভিসার আবেদন বিস্তারিত তথ্য জানতে ফ্রান্স এম্বাসী তে যোগাযো করুন https://bd.ambafrance.org/-Accueil-Anglais। সকল ডকুমেন্ট নিয়ে নিয়ে আপনি ফ্রান্স এম্বাসিতে যোগাযোগ করলে তারা আপনাকে একটি ইন্টারভিও এর ডেট দিবে । এই তারিখে গিয়ে আপনি ভিভা দিয়ে চলে আসবেন ।
ফ্রান্স টুরিষ্ট ভিসা খরচ কত
টুরিষ্ট ভিসা ভিসার ক্যাটাগরির উপর খরচ নির্ভর করবে। কারণ আপনি যদি একটি ফ্রান্স ভিসা করতে চান বর্তমান সময়ে অনেক বেশি টাকা খরচ হবে। আপনি যদি সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেন এবং তাদের এম্বাসি পরিক্ষায় পাস করতে পারেন তাহলে আপনি ভিসা পাওয়ার যোগ্য হবেন। ফ্রান্সে ভ্রমন ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট দেখাতে হবে। তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকে। নিচে আমরা আপনাদের ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য বিস্তারিত তালিকা আকারে দিচ্ছি বুঝতে যাতে অসুবিধা না হয়।
ক্রমিক | বিবরণ ভিসা সংক্রান্ত |
---|---|
০১ | ব্যাংক স্টেটমেন্ট |
০২ | এম্বাসি ভিসার ইন্টারভিউ |
০৩ | ৩ টি আবেদন ফরম |
০৪ | ১৬০ ডলার থেকে ২৫০ ডলার ফি |
ফ্রান্স টুরিষ্ট ভিসা খরচ ১৬০ ডলার থেকে ২৫০ ডলার ফি এটা বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসায় ফ্রান্স যেতে চাচ্ছেন। তাদের দেশে যাওয়ার জন্য অনেক ধরণের ভিসা রয়েছে যা আমরা আপনাদের ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি তাদের দেশে যাওয়ার সকল আবেদন করার নিয়ম, কিভাবে আবেদন করবেন যা যা কাগজ লাগবে তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত বলেছি তা নি আর বলার প্রয়োজন।
ফ্রান্স ভিসা করতে অনেক খরচ হয়ে যায়। ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে। যদি টুরিস্ট ভিসা বা বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।
চাকরির জন্য ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
চাকরির জন্য ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ফ্রান্স চাকরির জন্য ভিসা প্রাপ্ত করতে হলে কিছু প্রধান যোগ্যতা ও কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে, ফ্রান্স কোম্পানিগুলি একজন বিদেশী কর্মী নিয়োগ করার জন্য যা যা দেখবে। তা বিস্তারিত বলবো কিন্তু আশা করি আপনারা ফ্রান্স ভিসার দাম কত ও আরো অন্যান্য ক্যাটাগরির ফ্রান্স ভিসার দাম কত সহ আরো কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। চাকরির জন্য বিস্তারিত প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আলোচনা করা হবে।
যা যোগ্যতা প্রয়োজন |
---|
চাকরির অফার |
ভিসা ইন্টারভিউ |
কাগজপত্র |
ভিসা অ্যাপ্লিকেশন |
চাকরির বিশেষাংশ |
যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা |
আশা করছি, আপনারা ফ্রান্স ভিসা খরচ, বেতন ও আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। Fastbdinfo সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।