বাংলাদেশ পুলিশের সুযোগ সুবিধা, বেতন এবং যোগদানের কাগজপত্র। Bangladesh Police পুলিশের চাকরি নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে আজ আমি গুরুত্বপুর্ণ দুটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। আশা করি আপনাদের খুব কাজে আসবে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক বিষয় দুটি।
- পুলিশের চাকরির জন্য কি কি কাগজ লাগে
- বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদের সুযোগ সুবিধা
প্রথমেই দেখি পুলিশে যোগদানের কাগজপত্রর বিষয়টি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/ সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি।
- সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্রের মূলকপি।
- স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদপত্রের মূলকপি।
- প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি, প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে পিতা/ মাতার পরিচয়পত্রের মূলকপি।
- কোটায় আবেদনকারীদের কোটা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র/ সনদপত্র।
- ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ছবি।
- পরীক্ষার ফি বা অনলাইনে আবেদন করে থাকলে, পরীক্ষার ফি জমার রশিদ ও আবেদনের মুল কপি সাথে রাখতে হবে।
- সরকারি/ আধা-সরকারি/ স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র।
- জন্ম নিবন্ধন, অভিবাবকের সম্মতিপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, দৌড়, জাম্প, সাতার ইত্যাদির কোন সার্টিফিকেট থাকলে সেগুলোও সাথে রাখতে পারেন। আশাকরি এর থেকে বেশি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে না।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলের বেতন সুযোগ সুবিধা
বাংলাদেশ পুলিশের পরিক্ষা দেওয়ার আগে অবশ্যই সারকুলারটি ভালো করে কয়েকবার পড়ে নিবেন। যদি কোন কারনবসত এইসব কাগজপত্র ছাড়া অন্য কোন কাগজপত্র চাই, তবে সেটিও অবশ্যই সারকুলারে উল্লেখ থাকবে। তাই সার্কুলার দেখে সেই নির্ধারিত কাগজপত্রগুলোও সাথে নিয়ে যাবেন।
আর একটি বিষয়ঃ আপনার যদি অতিরিক্ত যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে সেগুলোও নিয়ে যাবেন। যেমনঃ সাঁতার, দৌড়, হা-ডু-ডু খেলার, ফুটবল খেলার ইত্যাদি। স্কুলে পড়ার সময় ইন্টার-স্কুল নামের একটি খেলার আয়োজন করে থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষরা। সেখানে প্রত্যেক স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরাই খেলার সুযোগ পায়। তাই আপনার যদি সেই সব সার্টিফিকেট থাকে, সেগুলো সাথে নিয়ে যাবেন। সেগুলো আপনার চাকরি পেতে আরো একধাপ সামনে এগিয়ে রাখবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা, বাছাই প্রক্রিয়া ২০২৪
একজন পুলিশের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা
ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চলাকালে ফ্রি-তে পাওয়া যাবে পোশাক, থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সুবিধা। পাশাপাশি দেওয়া হবে বেতনের সাথে ৭৫০ টাকা মাসিক ভাতা। প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগপ্রাপ্তদের ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড অনুযায়ী বেতনক্রম হবে ৯০০০-২১৮০০ টাকা। আবার ৯০০০ টাকা বেসিক বেতন হলে, ভাতা ও অন্যান্য সকল কিছু নিয়ে মোট আনুমানিক বেতন হবে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। পাওয়া যাবে পোশাকসামগ্রী, ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা । নিজ ও পরিবারের নির্ধারিত সংখ্যক সদস্যের প্রাপ্যতা অনুযায়ী পারিবারিক রেশনসামগ্রী স্বল্পমূল্যে ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়া প্রচলিত নিয়মানুযায়ী উচ্চতর পদে পদোন্নতি হতে পারবে। খুব ভালো করলে মিশনেও যেতে পারবেন সহজেই । জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানেরও সুযোগ রয়েছে পুলিশদের ।আশা করি কিছুটা ধারনা পেয়েছেন এই বিষয় দুটিতে।
আরো পড়ুনঃ পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) যোগদানের যোগ্যতা, বেতন ও কাজ
আশা করছি, আপনারা পুলিশের সুযোগ-সুবিধা, বেতন এবং যোগদানের কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।