বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদ হল পুলিশ কনস্টেবল। পুলিশ কনস্টেবল এ চাকরি পেতে গেলে অবশ্যই SSC এসএসসি পাস শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হয়। পুলিশ কনস্টেবল এর চাকরির পর অবশ্যই ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে চাকরিতে নিয়োগ হতে হয়। চাকুরীতে যোগদানের পরে ১৭ তম গ্রেডে বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। পুলিশ কনস্টেবলদের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা বলা হয়ে থাকে।
পুলিশ কনস্টেব বেতন
পুলিশ কনস্টেবল মূল বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য ভাতাদি পেয়ে থাকেন যেমন চিকিৎসাভাতা, ঝুকিভাতা, বাসা ভাড়া, অস্ত্র ভাতা ইত্যাদি। তো চলুন একজন পুলিশ কনস্টেবল যোগদানের পর কত টাকা পাই।
- মূলবেতন-৯০০০/— টাকা
- চিকিৎসা ভাতা-১৫০০/— টাকা
- ঝুঁকি ভাতা-১৫০০/—টাকা
- অস্ত্রভাতা-১০০ টাকা
- ধোলাই ভাতা ও চুলকাটা-৩০০ টাকা
- টিফিন ভাতা-২০০ টাকা
বাসা ভাড়াঃ অবিবাহিত হলে মূল বেতনের ২০%, বিবাহিত হলে মূল বেতনের ৪০% এবং বিবাহিতরা স্বপরিবারে কর্মস্থলে থাকলে স্থানভেদে ৪৫-৬৫% পর্যন্ত হারে এলাকা ভিত্তিক বাসাভাড়া পেয়ে থাকেন। যেমনঃ মেট্রো এলাকায় থাকলে ৬৫% আর মেট্রো এলাকার বাহিরে থাকলে ৪০% একটি চাটে লিস্ট দেখলে ভালো করে বুঝতে পারবেন নিচে দেয়া হলো। একজন কনস্টেবল ট্রেনিং শেষে চাকুরীতে যোগদানের পর সাধারণত ১৪,৫০০/— টাকার মত সেলারি পেয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা, বাছাই প্রক্রিয়া ২০২৪
জিপিএফ কর্তন ও শিক্ষা ভাতা
একজন পুলিশ সদস্য যদি চাই তার মূল বেতন থেকে ২৫% শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফ কর্তন করতে পারে, যদি না চাই তাহলে বাধ্যতামূলক ৫% শতাংশ কাটা হয় সে ক্ষেত্রে বেতন কম আসবে।
কোন সরকারি চাকুরীজীবী সদস্যের একটি সন্তান স্কুলে পড়ে তাহলে শিক্ষা ভাতা হিসেবে ৫০০ টাকা শিক্ষা ভাতা পেয়ে থাকেন।
আর যদি দুইজন সন্তান স্কুলে পড়ালেখা করে তাহলে আর ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে তাহলে মোট দাঁড়ায় ১০০০ টাকা।
স্বামী স্ত্রী দুজন চাকুরীজীবী হলে কেবল মাত্র একজেই সর্বোচ্চ দুটি সন্তানের জন্য ৫০০+৫০০= ১০০০ টাকা পেতে পারেন।
সরকারি চাকুরীজীবী দুই বা ততোধিক সন্তান থাকলেও মাত্র দুইটি সন্তানের শিক্ষা সহায়ক ভাতা পাবেন। পদোন্নতি ও নায়েক
পদোন্নতি ও নায়েক পদোন্নতি
একজন পুলিশ কনস্টেবল এর চাকরির বয়স তিন বছর পূর্ণ হলে এবং চাকরি কনফার্ম হলে নায়েক পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা হয়ে থাকে আর চাকরির বয়স 6 বছর পূর্ণ হলে এএসআই নিরস্ত্র পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
নায়েক পরীক্ষার ক্ষেত্রে
- ক্যাম্প প্রশিক্ষণ পরীক্ষা
- প্যারেড পরীক্ষা
- সাক্ষাৎকার
- চাকরির খতিয়ান
৫) পুরস্কার, পদোন্নতির জন্য এই সব পরীক্ষা হয়ে থাকে ।
এএসআই নিরস্ত্র:
এসআই নিয়োগ পরীক্ষা পদোন্নতি ক্ষেত্রে প্রথমে বহুনির্বাচনি mcq পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হয় উত্তীর্ণ হবার পর আইন ও বিধি পরীক্ষা পুস্তক সহ এবং আইন ও বিধি পরীক্ষা পুস্তক ব্যতীত এবং প্যারেড চাকরির খতিয়ান এগুলোর উপর পরীক্ষা হয়। একজন কনস্টেবল পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার পর্যন্ত হতে পারেন।
পুলিশ সদস্যদের রেশন সুবিধা
প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে রেশন সুবিধা পেয়ে থাকে বিয়ের পরে ২ সদস্যের রেশন পেয়ে থাকে, ২ সদস্য বাচ্চা হওয়া প্রর্যন্ত রেশন সুবিধা পেয়ে থাকে। নিচে পুলিশ সদস্যদের রেশন তালিকা দেওয়া হলো।
আশা করছি, আপনারা বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলের বেতন সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি আপনার লেখা কবিতা প্রকাশ করতে চান তাহলে নিচে কমেন্টে আপনার কবিতা লিখতে পারেন। Fastbdinfo সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।